ত্রিকন্যার জননী বাংলায় আরেকবার এসেছিলাম আমি হাজার বছর আগে একটি বিভ্রান্ত প্রজাপতি হয়ে_ তখন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ওরা ত্রিসহোদর ছিলো খুবই ছোট; অবুঝ খুকির মতো সারাক্ষণ মৃদু ঢেউয়ের কল্লোলে বাকযুদ্ধে লিপ্তছিলো পরস্পর তর্কে হারলে ভেঙ্গে ফেলতো চোখের সামনে যা পেতো সব করতো না দামি-সস্তার হিসাব।
তখন ভাবতেও পারিনি_ একসময় ওরা এতো বড় হয়ে সুবিশাল ঢেউয়ের নৃত্যে ঘুরে বেড়াবে অনন্তকাল।
তারপর এসেছি, কোনো এক অগি্নঢালা গ্রীষ্মের বিষণ্নদুপুরে এক ক্লান্ত-পথিকের বেশে কাঁচা রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাছটির তলে বসে দেখেছি, কিশোরীর কানের দুলের মতো লটকায় বাংলার থোকায় থোকায় রংবেরঙের ফল তীক্ষ্নচঞ্চু ফেলে ফলের গায়ে খোঁচা দেয় দু'একটা কৌতূহলী পাখি
তখন ভাবতেও পারিনি_ এদৃশ্য চিরদিনের জন্যে নয় একসময় এদেশে ফল-মূলের দাম হবে আকাশছোঁয়া
তারপর এসেছি, কোনো এক নবযৌবনা বর্ষায় স্তম্ভ মেঘের হেলিকপ্টারে চড়ে আকাশভাঙ্গা বৃষ্টিরূপে দেখেছি, খালে-বিলে টলটলে পানির শিবনৃত্য আর চালাক মাছের ফুটবল খেলা শুনেছি, বৈয়াঘ্র ব্যাঙ বয়াতির পুথিপাঠ
তখন ভাবতেও পারিনি_ আকস্মৎ নিভে যাবে বাংলার মৎস্যৈতিহ্যের দীপ এদেশের মানুষ ভোগবে তীব্র পানি সংকটে
তারপর এসেছি, এক মিষ্টি রোদেলা শরতের সকালে, পথভোলা ভ্রমর হয়ে দেখেছি, রূপালি আলোর দিগন্ত; জঞ্জালমুক্ত আকাশ মানুষের নিগূঢ় সমপ্রীতি; ভালোবাসার ছড়াছড়ি; নেই তিলসম দ্বেষের ঘনঘটা
তখন ভাবতেও পারিনি_ একসময় রক্তের সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে বিশ্বের বুকে কলঙ্কিত হবে এদেশে
সূর্য
কবিতার উপমায় নতুনত্ব আছে "মাছেদের ফুটবল খেলা" "স্তম্ভ মেঘের হেলিকপ্টারে চড়া" "রক্তের সুইমিং পুল"............... ভাল লিখেছ রণি। কবিতায় আমি চরিত্রটা কী তা বুঝা যায় না [সময় বলে ধরে নিলাম]
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।